রামিজ রাজা কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকারকে টার্গেট করেছেন

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকেই খবরে রয়েছে। সম্প্রতি, রামিজ দাবি করেন যে তাকে “অফিসে গিয়ে তার জিনিসপত্র সংগ্রহ” করার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং অন্তর্বর্তীকালীন পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠিকেও তিরস্কার করেন। রামিজ ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বিচারপতি মালিক মুহাম্মদ কাইয়ুম রিপোর্টের উল্লেখ করে, কিংবদন্তী ফাস্ট বোলার, ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনিসকে নিশানা করেছে। উল্লেখ্য, আকরাম যার নাম বেশ কয়েকবার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাকে জরিমানা করা হয়েছে এবং অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ওয়াকারকেও জরিমানা করা হয়।

জরিমানা করা সত্ত্বেও আকরাম এবং ওয়াকার উভয়ই পাকিস্তানের ব্যবস্থাপনা কর্মীদের অংশ ছিলেন। পরে দলের প্রধান কোচ হিসাবে দুটি পৃথক মেয়াদ ছিল। তবে রামিজ বলেন, তিনি যদি আইন প্রণেতা হতেন, তাহলে আকরাম ও ওয়াকার উভয়কেই চিরতরে নিষিদ্ধ করে দিতেন তিনি। “আমি মনে করি কারও (পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিরে আসার) সুযোগ থাকা উচিত হয়নি। সেখানে যদি ওয়াসিম আক্রমের নাম থাকে এবং সহযোগিতা না করার জন্য তাকে তিরস্কার করা হয়, তাই না? এটি একটি বর্ডারলাইন কেস ছিল। “রামিজ সামা টিভিতে এ কথা বলেন, আমি যদি সে সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতাম, তাহলে আমি তাদের চিরতরে নিষিদ্ধ করতাম। আপনি তাদের সিস্টেমে ফিরিয়ে এনেছে। সে সময় আমি ক্ষমতায় ছিলাম না। আমাদের তাদের সাথে খেলতে এবং তাদের সাথে কাজ করতে বলা হয় এবং এটাই ছিল। কেউ জানতো না কিভাবে এর মোকাবিলা করতে হয়। এতে অনেক মানুষ জড়িত ছিল। আমি জানি না এর বাধ্যবাধকতা কী ছিল।

রামিজ সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির এবং মোহাম্মদ আসিফের সম্পর্কেও তার মতামত প্রকাশ করেন যারা ২০১০ সালে স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়। এই তিনজনের প্রতি তার অবস্থান একই রকম আছে কিনা জানতে চাইলে রামিজ বলেন, ‘যেই কলঙ্কিত হোক না কেন, এ বিষয়ে আমার জিরো টলারেন্স আছে। আমি একেবারে পরিষ্কার। লোকেরা বলে যে তারা শাস্তি পেয়েছে এগিয়ে যাও। কিন্তু আমি এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি।

Leave A Comment