শাহিন আফ্রিদির সাথে জুটি গড়তে চাই: আব্বাস
পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আব্বাস তরুণ ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির পারফরম্যান্সে দুর্দান্ত উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং দলে ফিরে এলে তার সাথে জুটি গড়তে চান।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে আব্বাস, যিনি জাতীয় দলের অভিষেকের সময় শাহীনের সাথে খেলেছিলেন, তাকে তার ছোট ভাই হিসাবে বিবেচনা করেন এবং ফাস্ট বোলার হিসাবে তার সাফল্য দেখে আনন্দিত।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন জাতীয় দলের সদস্য ছিলাম, তখন থেকেই শাহীন তার ক্রিকেটে অনেক উন্নতি করেছে। সে আমার ছোট ভাইয়ের মতো এবং আমি তার জন্য খুব খুশি। পুনর্বাসনের সময় এনসিএ-তে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল এবং আমি তাঁর ক্যারিয়ারের শুভকামনা জানাই।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান দলে ফেরার সুযোগ পেলে আমি শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে শক্তিশালী জুটি গড়তে চাই। তার বর্তমান পারফরম্যান্স অনুপ্রেরণাদায়ক, এবং আমি এটি অনুকরণ করতে চাই এবং আমার অতীতের সাফল্যগুলি গড়ে তুলতে চাই, আমাদের দলের সাফল্যে যতটা সম্ভব অবদান রাখার চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে।
৩৩ বছর বয়সী এই পেসার পাকিস্তানে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলারদের প্রাচুর্যের কথাও বলেছেন, তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সফল হওয়ার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্তত চারটি মৌসুম খেলার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলারদের প্রাচুর্য দেখে আমি গর্বিত। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সফল হতে হলে এই তরুণ বোলারদের অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্তত চারটি মৌসুম খেলতে হবে। চার দিনের ক্রিকেট খেলা বা কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে অংশ নেওয়া তাদের টেস্ট ক্রিকেটের কঠোরতার জন্য প্রস্তুত করবে এবং সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম করবে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬১৬ উইকেট নেওয়া ডানহাতি পেসার জোর দিয়ে বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে শুধু দক্ষতাই নয়, মানসিক ও শারীরিক সহনশীলতাও প্রয়োজন।
টেস্ট ক্রিকেট এমন একটি চ্যালেঞ্জ যার জন্য শুধু দক্ষতাই নয়, মানসিক ও শারীরিক সহনশীলতাও প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন খেলোয়াড়দের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য বাধা হতে পারে। পাকিস্তানের উষ্ণ আবহাওয়া থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডের ঠান্ডা, ভেজা আবহাওয়া একজন খেলোয়াড়ের ছন্দকে ব্যাহত করতে পারে। বিভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে এবং উৎকর্ষ অর্জন করতে হলে খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটে শীর্ষ পর্যায়ে খেলতে হবে। তবেই তারা নিজেদের দখল ধরে রাখতে পারবে এবং টেস্ট ক্রিকেটের কঠোরতা থেকে বাঁচতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার পর বোলারদের ইনজুরিতে পড়া এবং তারপর টেস্ট ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। খেলোয়াড়দের কাজের চাপ সামলানো এবং চ্যালেঞ্জের জন্য তারা পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত কিনা তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
চলতি মৌসুমে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ৯ উইকেট নিয়ে অসাধারণ ফর্মে আছেন আব্বাস।