চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএলটি২০) উদ্বোধনী আসর থেকে বাদ পড়েন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক লিগটি প্রথম মৌসুমের জন্য শীর্ষ খেলোয়াড়দের ৪৫০,০০০ মার্কিন ডলার ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে আয়োজকরা শাহিন আফ্রিদি, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ৯ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত ছিলেন। তিন বছরের চুক্তির পাশাপাশি তাদের অধিনায়কত্বের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
এই তিনজনের পাশাপাশি ফখর জামান ও মোহাম্মদ হাসনাইনের সঙ্গেও প্রথম মৌসুমের জন্য বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগাযোগ করেছিল। টুর্নামেন্টের জন্য ডেজার্ট ভাইপারস আজম খানকে বেছে নিয়েছিল, কিন্তু পরে পিসিবি তাকে অনাপত্তি পত্র দিতে অস্বীকার করেছিল।
তাদের সবাইকে জানানো হয়েছিল, পিএসএল (পাকিস্তান সুপার লিগ) ও জাতীয় দায়িত্ব থেকে দূরে থাকলেই তারা লিগ খেলতে আসতে পারবেন। তা সত্ত্বেও পিসিবি তাদের কোনো খেলোয়াড়কে লিগে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়নি। পিসিবির তৎকালীন চেয়ারম্যান রমিজ রাজা ও এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের কাছে লিগের জন্য খেলোয়াড়দের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন।
তবে বর্তমান পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি আইএলটি-২০ নিয়ে কঠোর অবস্থানে নেই। সম্প্রতি পিএসএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক বৈঠকে তিনি আরও বলেছিলেন যে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এখন থামানো সম্ভব হবে না কারণ খেলোয়াড়রাও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য অ্যাসোসিয়েশন গঠনের কথা ভাবছে।
শেঠি বিশ্বাস করেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে পিসিবির ভাল সম্পর্ক রয়েছে এবং নীতির ভিত্তিতে তারা আলোচনা করতে পারে। সে সময় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পরবর্তী মরসুম দুবাই থেকে শুরু করা উচিত, যাতে ইভেন্টটি হাইপ অর্জন করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের আকৃষ্ট করতে পারে।
তবে পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা এই প্রস্তাবে একমত নন। তারা বিশ্বাস করে যে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ছেড়ে দেওয়া এবং আইএলটি ২০ শক্তিশালী করা পিএসএলের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে।
সূত্রের খবর, বর্তমান প্রশাসন আগামী তিন বছর ক্ষমতায় থাকলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আইএলটি-২০-তে খেলতে দেখা যাবে।