গুয়াহাটিতে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে ইসলামের প্রভাব নিয়ে মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেডেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের মেন্টর ের দায়িত্ব পালন করা হেডেন পিসিবির সাবেক প্রধান রমিজ রাজার সঙ্গে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন।

হেডেন তার অন-এয়ার ধারাভাষ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে ইসলামের কেন্দ্রীয় ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন এবং পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা এবং ফোকাসে অবদান রাখে। তিনি বলেন, ‘এটা ইসলামকে কেন্দ্র করে খুবই মনোযোগী, যা এই প্লেয়িং ইউনিটের একটি কেন্দ্রীয় ও মূল বিষয়। পাকিস্তান দলের জীবনযাত্রা আরও বেশি শৃঙ্খলার দিকে পরিচালিত করে, যা আমি ক্রিকেটের পরেও একটি শৃঙ্খলার প্রশংসা করি।

হেডেন এবং রাজার ভিডিও ক্লিপটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে যায়। পাকিস্তানে এই মন্তব্য প্রশংসা কুড়িয়েছে, তবে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছ থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

এই প্রথম নয় যে কোনও ধারাভাষ্যকার অ-ক্রিকেট সম্পর্কিত মন্তব্য ের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। ২০০৬ সালে কলম্বোতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার একটি টেস্ট ম্যাচের লাইভ টেলিভিশন সম্প্রচারের সময় হাশিম আমলাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করার জন্য সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডিন জোন্সকে সরিয়ে দেয় ব্রডকাস্টার টেন স্পোর্টস। কুমার সাঙ্গাকারাকে আউট করতে আমলা ক্যাচ নেওয়ার পর জোন্স এই মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বহুজাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট পরিচালনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা কোনও ধরণের বাণিজ্যিক বা ধর্মীয় প্রচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের সময় মহেন্দ্র সিং ধোনি উইকেটরক্ষক গ্লাভস পরেছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রতীকের অনুরূপ এই চিহ্নটি আইসিসির আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।