বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আশাবাদী যে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জন্য নিজেদের উপলব্ধ করার জন্য ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিলেও ৮ বা ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে।

ক্রিকবাজ জানতে পেরেছে যে, পিসিবি ইতিমধ্যে তাদের খেলোয়াড়দের তাদের নিজ নিজ বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে জানাতে বলেছে । যে তারা ২ ফেব্রুয়ারির পরে উপলব্ধ হবে না কারণ তাদের নিজ নিজ পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিতে রিপোর্ট করতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে টুর্নামেন্টের ১৫ দিন আগে খেলোয়াড়রা তাদের নিজ নিজ শিবিরে উপলব্ধ থাকবে এবং যদি এটি বিবেচনা করা হয় তবে তাদের আগেই চলে যাওয়া উচিত ছিল তবে দুই বোর্ডের সাথে সম্পর্কের কারণে পিসিবি তাদের ক্রিকেটারদের বিপিএলে থাকার এবং ২ ফেব্রুয়ারি ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেছেন যে, পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে এখন খেলোয়াড়ের প্রাপ্যতার বিষয়টি তাদের নিজ নিজ খেলোয়াড়দের মধ্যে সমাধান করা দরকার।

অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি-২০ ও এসএ-২০ টুর্নামেন্টের জন্য বিদেশি টি-টোয়েন্টি তারকাদের দলে নিতে হিমশিম খাচ্ছে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাতিলের পর বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের প্রাপ্যতা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

চলমান বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়:

ঢাকা ডমিনেটরস:  শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ ও সালমান ইরশাদ।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স:  উসমান খান ও খাজা নাফায়
ফরচুন বরিশাল:  ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও হায়দার আলী।
খুলনা টাইগার্স:  ওয়াহাব রিয়াজ, আজম খান ও আমাদ বাট।
সিলেট স্ট্রাইকার্স:  মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস ও ইমাদ ওয়াসিম।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স:  মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী, খুশদিল শাহ, আবরার আহমেদ ও নাসিম শাহ।
রংপুর রাইডার্স:  শোয়েব মালিক, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।