আইপিএল ২০২৩-এর আরেকটি বড় লড়াইয়ের সাক্ষী হতে প্রস্তুত গোটা বিশ্ব। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২৬তম ম্যাচে বুধবার জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। আমরা আইপিএল টি২০ ২০২৩-এর আজকের ম্যাচের নিরাপদ, নির্ভুল এবং ১০০% সুরক্ষিত ভবিষ্যদ্বাণী পোস্ট করছি, যেখানে লাইভ আইপিএল স্কোর এবং ভবিষ্যদ্বাণীসহ বল-বাই-বল আপডেট রয়েছে।

আইপিএলের এবারের আসরের সেরা পারফর্মিং দলগুলো এই ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই টুর্নামেন্টে রাজস্থান রয়্যালস যেভাবে পারফর্ম করেছে তা অসাধারণ এবং তারা এই মুহূর্তে এই টুর্নামেন্টে সেরা পারফর্মিং দল। মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলে চারটিতে জয় পেয়েছে তারা। তারা মাত্র একটি ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে। তারা গুজরাট টাইটানস, চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে পরাজিত করেছিল এবং পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিল। লখনউ সুপার জায়ান্টসও এই টুর্নামেন্টে ভাল পারফরম্যান্স করেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা। দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। চেন্নাই সুপার কিংস ও পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে হারলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জিতেছে তারা।

রাজস্থান রয়্যালস এখন টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছে এবং তাদের সর্বশেষ জয়টি গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তিন উইকেটের ব্যবধানে এসেছিল। রাজস্থান রয়্যালস খেলার প্রতিটি বিভাগে একটি উন্নত দল। এর আগে খেলা প্রায় সব ম্যাচেই এই দলের বোলিং ভালো ছিল। ট্রেন্ট বোল্ট এবং সন্দীপ শর্মা এই দলের বোলিং ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অ্যাডাম জাম্পা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং যুজবেন্দ্র চাহালের সাথে। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে তাদের আগের ম্যাচেও তারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল এবং ২০ ওভারে ১৭৭ রান তুলেছিল। সন্দীপ শর্মা মাত্র ২৫ রানের বিপরীতে চার ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে দলের সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন। অ্যাডাম জাম্পাও বল হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন এবং চার ওভারে একটি উইকেট নিয়েছিলেন যখন তিনি ৩২ রান দিয়ে চার্জ পেয়েছিলেন।অন্য বোলার হিসেবে যুজবেন্দ্র চাহাল ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। ট্রেন্ট বোল্টও একটি উইকেট নিয়েছিলেন তবে তিনি প্রচুর রান করেছিলেন। মাত্র চার ওভারে ৪৬ রান তুলে নেন তিনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তাদের দলের একমাত্র বোলার ছিলেন যিনি কোনও উইকেট নিতে ব্যর্থ হন এবং তিনি চার ওভারে ৩৭ রান তুলেছিলেন।

রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং ইউনিট আগের প্রায় সব ম্যাচেই তাদের কাজ করেছে এবং আমরা নিশ্চিত যে তারা এই ম্যাচেও ভাল পারফর্ম করবে। রাজস্থান রয়্যালস আইপিএলের আগের মরসুমে তাদের ব্যাটিং স্কোয়াডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছিল এবং আমরা এই পরিবর্তনগুলির ভাল ফলাফল দেখতে পাচ্ছি। যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলার এবং দেবদত্ত পাডিক্কলের সাথে এই দলের শীর্ষ ব্যাটিং অর্ডারটি খুব শক্তিশালী এবং তারা মিডল এবং লোয়ার ব্যাটিং অর্ডারেও শক্তিশালী।সঞ্জু স্যামসন, রিয়ান পরাগ, শিমরন হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। আমরা তাদের আগের ম্যাচেও একই অবস্থা দেখেছি যেখানে তারা চার বল বাকি থাকতে১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল। মনে রাখতে হবে, তাদের মূল চার ব্যাটসম্যান ১১তম ওভারে মাত্র ৫৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে এলেও পরের নয় ওভারে ১২০ রানের বেশি সংগ্রহ করে। সঞ্জু স্যামসন আগের ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তার ভালো ফর্ম ফিরে পান এবং মাত্র ৩২ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও ছয়টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করে দলের সবচেয়ে সফল ও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে প্রমাণিত হন। শিমরন হেটমায়ার ছিলেন অন্য ব্যাটসম্যান যিনি ভাল পারফর্ম করেছিলেন এবং এই দলের জয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। মাত্র ২৬ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শিমরন হেটমায়ার। তিনি তার ইনিংসের সময় দুটি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন। দেবদত্ত পাডিক্কল ২৬ রান করেন এবং ধ্রুব জুরেল ১৮ রান করতে সক্ষম হন।

লখনউ সুপার জায়ান্টস ভাল পারফরম্যান্স করেছে এবং টানা দুটি ম্যাচ জিতেছে তবে তারা তাদের সাম্প্রতিক তম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে মাত্র দুই উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে। এই দলের ব্যাটিং অর্ডার শক্তিশালী হাতে রয়েছে এবং তারা পূর্বে খেলা ম্যাচগুলিতেও ভাল পারফর্ম করেছে। কাইল মেয়ার্স, দীপক হুদা, ক্রুনাল পান্ডিয়া, নিকোলাস পুরান, মার্কাস স্টয়নিস এবং আয়ুশ বাদোনির সাথে কেএল রাহুল এই দলের ব্যাটিং অর্ডারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তবে এই সমস্ত ব্যাটসম্যানরা আগের ম্যাচে বোর্ডে দুর্দান্ত স্কোর রাখতে ব্যর্থ হন এবং ২০ ওভারে মাত্র ১৫৯ রান করেন।লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল ৫৬ বলে আট বাউন্ডারি ও একটি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ৭৪ রান করে আগের ম্যাচে সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী দুর্দান্ত ফর্মে ফিরে এসেছেন। কাইল মেয়ার্স ছিলেন অন্য ব্যাটসম্যান যিনি আগের ম্যাচে বোর্ডে কিছু রান রেখেছিলেন। তিনি ২৩ বলের মুখোমুখি হয়ে ২৯ রান করেছিলেন এবং একটি বাউন্ডারি এবং তিনটি বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন। ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৮ রান করেন এবং মার্কাস স্টয়নিস ১৫ রান করতে সক্ষম হন। তাদের দলের অন্য কোনও ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে প্রবেশ করতে পারেনি।

লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলিং ইউনিট এই টুর্নামেন্টে খেলার প্রতিটি বিভাগে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। তাদের স্কোয়াডে কিছু তরুণ ভারতীয় বোলার রয়েছে এবং সমস্ত বোলারই আগের ম্যাচে ভাল পারফরম্যান্স করেছিল। যুধবীর সিং চরক এবং আভেশ খান তরুণ স্থানীয় ভারতীয় বোলার যারা আইপিএলের খাঁটি পণ্য। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং রবি বিষ্ণোইয়ের সাথে মার্ক উডও এই দলের বোলিং স্কোয়াডের অংশ। আগের ম্যাচে তারা ভালো পারফর্ম করলেও বোর্ডে কম লক্ষ্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় এবং ১৯.৩ ওভারে ১৬০ রানের টার্গেট ছিনিয়ে নেয়। ১৯ রানের বিপরীতে তিন ওভারে দুটি উইকেট নিয়ে তাদের দলের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন যুদ্ধবীর সিং চরাক। রবি বিষ্ণোইও ভাল পারফর্ম করেছিলেন এবং ২.৩ ওভারে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন এবং তিনি ১৮ রান দিয়ে চার্জ পেয়েছিলেন। মার্ক উড অন্য বোলার ছিলেন যিনি চার ওভারে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন তবে তিনি প্রচুর রান ফাঁস করেছিলেন। চার ওভারে ৩৫ রান তুলে ছিলেন তিনি।কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং ক্রুনাল পান্ডিয়াও ভাল পারফর্ম করেছেন। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩২ রানের বিপরীতে তিন ওভারে একটি উইকেট নেন এবং কৃষ্ণাপ্পা গৌতমও চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। আমরা নিশ্চিত যে লখনউ সুপার জায়ান্টরা এই ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে আমাদের কঠিন সময় দেবে।

রাজস্থান রয়্যালস ২ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল যেখানে তারা উভয় ম্যাচ জিতেছিল এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচ জেতেনি।

রাজস্থান রয়্যালস সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জিতেছে এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে।

রাজস্থান রয়্যালস একটি শক্তিশালী এবং সুষম দল এবং একটি শক্তিশালী ব্যাটিং এবং বোলিং বিভাগ রয়েছে যা ভাল ফর্মে রয়েছে। এই দলের ব্যাটিং ও বোলিং স্কোয়াড অন্তত কাগজে-কলমে অনেক বেশি শক্তিশালী। আজকের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, রাজস্থান রয়্যালস এই ম্যাচটি জিতবে। রাজস্থান রয়্যালসকে এই ম্যাচ জেতার জন্য ফেভারিট দল করে তোলে এমন অনেকগুলি কারণ রয়েছে। কয়েকটি মূল কারণ নিম্নরূপ উল্লেখ করা হয়েছে:

• রাজস্থান রয়্যালস এই মুহূর্তে এই টুর্নামেন্টের সেরা পারফর্মিং দল।
• রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং অর্ডার শক্তিশালী এবং ভাল ফর্মে রয়েছে।
• লখনউ সুপার জায়ান্টসও এই টুর্নামেন্টে ভাল পারফরম্যান্স করেছে।
• রাজস্থান রয়্যালস বোলিং ইউনিটে সমৃদ্ধ
• রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান খেলোয়াড়রা ভালো ফর্মে আছে।

লখনউ সুপার জায়ান্টসের সাথে তুলনা করলে রাজস্থান রয়্যালস সামগ্রিকভাবে একটি শক্তিশালী দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সেরা খেলোয়াড় আছে তাদের। এই দলের ব্যাটিং অর্ডারও শক্তিশালী এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কিছু সুপরিচিত হিটার এই দলের স্কোয়াডের অংশ, তাই রাজস্থান রয়্যালসের আজকের ম্যাচের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। আজকের ক্রিকেট ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণীতে কে জিতবে এবং আজকের ক্রিকেট ম্যাচটি কে জিতবে তার সমীকরণটি নীচে উল্লেখ করা হয়েছে।

জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইপিএল-২০-এর ২৬তম ম্যাচ। সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের পিচটি সাধারণত ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল হিসাবে পরিচিত, উচ্চ স্কোরিং ম্যাচগুলির ইতিহাস রয়েছে। তবে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পিন বোলারদেরও কিছুটা সহায়তা দিতে পারে পিচ। আবহাওয়া, দিনের সময় এবং ব্যবহৃত বলের ধরণের মতো কারণগুলির উপর নির্ভর করে পিচের সঠিক শর্তগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করার আগে সর্বদা সর্বশেষ পিচ রিপোর্ট এবং আবহাওয়ার অবস্থার সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জয়পুরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস এই ক্রিকেট ম্যাচের জন্য ভাল। এপ্রিল সাধারণত জয়পুরে একটি উষ্ণ মাস, গড় উচ্চ তাপমাত্রা প্রায় 38 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (100 ডিগ্রি ফারেনহাইট) এবং গড় নিম্ন তাপমাত্রা প্রায় 22 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (72 ডিগ্রি ফারেনহাইট)। দিনগুলি সাধারণত রৌদ্রোজ্জ্বল এবং শুষ্ক থাকে, পরিষ্কার নীল আকাশ এবং বৃষ্টিপাতের খুব কম সম্ভাবনা থাকে।

রাজস্থান রয়্যালস: জস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), রিয়ান পরাগ, শিমরন হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম জাম্পা, সন্দীপ শর্মা, যুজবেন্দ্র চাহাল।

লখনউ সুপার জায়ান্টস: লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), কাইল মেয়ার্স, দীপক হুদা, মার্কাস স্টয়নিস, ক্রুনাল পান্ডিয়া, নিকোলাস পুরান( উইকেটরক্ষক), আয়ুশ বাদোনি, আভেশ খান, যুদ্ধবীর সিং চরক, মার্ক উড, রবি বিষ্ণোই।

• তারিখ: বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
• সময়: ০২:০০ পি. এম, জি. এম. টি / ০৭:৩০ পি. এম, স্থানীয় / ০৭:৩০ পি এম, আন্তর্জাতিক

• স্টেডিয়াম: সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়াম
• অবস্থান: জয়পুর, ভারত
• ক্যাপাসিটি: ৩০০০০
• টাইম জোন: ইউটিসি +০৫:৩০
• হোম: রাজস্থান
• ফ্লাডলাইট: হ্যাঁ

দেবদত্ত পাডিক্কল, মুরুগান অশ্বিন, ডোনাভন ফেরেইরা, নভদীপ সাইনি, জো রুট, জেসন হোল্ডার, কুলদীপ সেন, কেএম আসিফ, আকাশ বশিষ্ঠ, কেসি কারিয়াপ্পা, ওবেদ ম্যাককয়, কুলদীপ যাদব, আবদুল বাসিথ, কুনাল সিং রাঠোর, জস বাটলার, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), রিয়ান পরাগ, শিমরন হেটমায়ার, ধ্রুব জুরেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম জাম্পা, সন্দীপ শর্মা, যুজবেন্দ্র চাহাল।